সোয়েব সাঈদ, রামু ::
জাতিরজনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে ১৯৭৩-৭৪ সালে দেড় একর জমি বন্দোবস্ত পান রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের টুঙ্গাডেপা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাফিজ পাটোয়ারী। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক মামলার শিকার ও নানা সমস্যায় জড়িয়ে উল্টো হয়রানির শিকার হয়ে ৪৪বছরেও সেই জমি দখলে যেতে পারেননি তিনি।
দীর্ঘ ৪৪ বছর পর রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সেই জমি ফিরে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাফিজ পাটোয়ারী।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান, উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার সাখাওয়াত হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মচারি খুনিয়াপালং ইউনিয়নের দারিয়ারদিঘী মৌজায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাফিজ পাটোয়ারীর বন্দোবস্তকৃত দেড় একর জমি পরিমাপ করে দখলমুক্ত করেন। পরে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে জমিটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাফিজ পাটোয়ারীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এসময় রামু উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মন্ডলসহ এলাকার রাজনীতিক ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামান জানিয়েছেন, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক আলী হোসেনের নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাফিজ পাটোয়ারির বন্দোবস্তকৃত জমি তিনি সরেজমিন গিয়ে পরিমাপ করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধার জমি দেরিতে হলেও বুঝিয়ে দিতে পারায় তিনি আনন্দিত বলে জানান।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. হাফিজ পাটোয়ারী তাঁর কাংখিত জমি ফিরে পাওয়ায় জেলা প্রশাসক আলী হোসেন, রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. নিকারুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
…………………………………………….
রামু প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা মক্কার ১ যুগপূর্তি,উপলক্ষে মিলনমেলা ও মেজবান অনুষ্ঠিত
সোয়েব সাঈদ, রামু ::
রামু প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা মক্কার ১ যুগপূর্তি উপলক্ষে মিলনমেলা ও মেজবান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৬ জুলাই সৌদি আরবের মক্কা তাইছির শহরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠান রামুর সৌদি প্রবাসীদের উপস্থিতিতে আনন্দ মুখরিত হয়ে উঠে।
রামু প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা মক্কার সভাপতি মো. আবদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবছার মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সহ সভাপতি সাহাব উদ্দিন, সদস্য সুলতান আহমদ, নাছির উদ্দিন, মনছুর, মোমেনুর রশিদ, জহিরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, নুরুল আলম, ছুরুত আলম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের বিপুল সংখ্যক সদস্য, রামু প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। মেজবান শেষে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম পুরস্কার পান সামসুদ্দিন।
মিলনমেলা ও মেজবান অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, রামু প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা মক্কা সংগঠনের সদস্যদের স্বাভলম্বী করা ও তাদের বিরাজমান সমস্যা নিরসনের পাশাপাশি জনকল্যাণকর কাজের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে। সংগঠনের সকল প্রক্রিয়া সুন্দর ও স্বচ্ছতার সাথে করার পাশাপাশি এ সংগঠন রামু-কক্সবাজারের গরীব, অসহায়, বন্যার্ত মানুষের জন্য অবদান রেখে যাচ্ছে। আগামীতে এ সংগঠন রামু উপজেলাকে আরো সমৃদ্ধ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে। এজন্য রামু প্রবাসী ও দেশের সকল মানুষের সহযোগিকতা কামনা করা হয়।
পাঠকের মতামত: